ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ, সম্পর্কে আমাদের সবার জানা অত্যন্ত জরুরী। ঈদ মানে অনন্দ উৎসব যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত খুশির দিন। ফিতর মানে রোজা ভঙ্গ করা। অর্থাৎ দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের দিনের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করাই হলো ঈদুল ফিতর।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ
- ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ
- ঈদের দিনে করণীয় কাজ
- ঈদের দিনে বর্জনীয় কাজ
- ঈদের নামাজ কি ফরজ নাকি ওয়াজিব
- ঈদের দিনের আমল সমূহ
- শেষ কথাঃ ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ
ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ
ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ, সম্পর্কে সবাই সঠিক ভাবে অবগত না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে জারা দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের দিনের সঠিক করণীয় কাজ সম্পর্কে জানেন না। ঈদ মানে শুধুমাত্র আনন্দ উৎসব না বরং ঈদ মানে মহান আল্লাহ্র কাছ থেকে ক্ষমা এবং সন্তুষ্টি অর্জনের দিন। এই দিনে বেশ কিছু সুন্নত কাজ রয়েছে যা করা আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম হিসাবে আমাদের সকলেরই ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
আবার ঈদের দিনের বর্জনীয় কাজ গুলো আমাদের জেনে রাখতে হবে। আমরা মনে করি এক মাস রোজা শেষে ঈদের দিনে যা মন চায় তাই করি। কিন্তু সেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ঈদের দিন একটা বরকতময় দিন যা এক বছর পর পর আসে। তাই এই দিনে যা যা ফরজ এবং সুন্নত তা করণীয়। ঈদের দিনে বর্জনীয় কাজ যেমন গান বাজনা করা, গাজা মদ খাওয়া আরো খারাপ কাজ এ লিপ্ত হওয়া। এই সব কাজ থেকে আমাদের হেফাজতে থাকতে হবে।
ঈদের দিনে করণীয় কাজ
আমাদের জানা দরকারি ঈদের দিনে যে যে কাজ করবো। ঈদের দিনে অনেক সুন্নত কাজ আছে যা আমাদের জন্য করা অনেক ফজিলত পূর্ণ। তাই এই সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা ভালো। আজকে এই আর্টিকেলে এখন আমরা জানতে চলেছি ঈদের দিনে করণীয় কাজ গুলো সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
গোসল এবং পবিত্রতা অর্জন করাঃ ঈদের দিনের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে সুন্দর মত গোসল করা ও মিসওয়াক করা যা আমাদের জন্য সুন্নত।
উত্তম পোশাক পরাঃ মুসলিমদের জন্য ঈদ দুইটা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। আর এই দুই ঈদেই গোসলের পর করণীয় কাজ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা। আর ঈদের দিনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরাও সুন্নত।
ঈদ্গাহে যাওয়ার আগে কিছু খাওয়াঃ ঈদের দিনের আর একটি সুন্নত কাজ হলো ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে মিষ্টি জাতীয় কিছু একটা খাওয়া। তবে এটা শুধু ঈদুল ফিতরের দিনে করণীয়।
ঈদ্গাহে যাতায়াতের সময় তাকবির পড়াঃ ঈদুল ফিতরের দিন ঈদ্গাহে যাওয়ার সময় তাকবির পাঠ করা সুন্নত। ঈদুল ফিতরের দিন নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকবির পড়া সুন্নত।
ঈদ্গাহে আশা যাওয়ার রাস্তা পরিবর্তন করাঃ ঈদের দিনে ঈদ্গাহে যাওয়া আশার রাস্তা পরিবর্তন করা সুন্নত। যেমন ঈদ্গাহে যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যেতে হবে এবং ঈদ্গাহ থেকে নামাজ শেষে আশার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে আশা এটা সুন্নত।
ঈদ্গাহে যাওয়ার সময় শিশুদের সঙ্গে নেওয়াঃ ঈদের দিনে ঈদ্গাহে নামাজে যাওয়ার সময় বাড়ির শিশুদের ঈদ্গাহে নিয়ে যাওয়া। আমাদের নবি হযরত মোহাম্মাদ (স.) ঈদের দিনে শিশুদের ঈদ্গাহে নিয়ে যেতেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় করাঃ ঈদের দিনে সকল শত্রুতা ভুলে গিয়ে একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করা সুন্নত।
ঈদের খুতবা শোনাঃ ঈদ্গাহে গিয়ে মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা আমাদের জন্য ঈদের দিনের একটি করণীয় কাজ।
ঈদের দিনে বর্জনীয় কাজ
ঈদের দিনে যেমন করণীয় কাজ আছে যেমন বর্জনীয় কিছু কাজ আছে। যা আমাদের জেনে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন এক মাস রোজা রাখার পর যদি আপনি ঈদের দিনের বর্জনীয় কাজ না জেনে সেই কাজ গুলোই করেন তাহলে আপনার সওয়াবের জায়গায় পাপ বেশি হবে। তাই আগে থেকে এই বিষয় গুলো যেনে রাখুন।
বিজাতীয় সংস্কৃতি এড়িয়ে চলাঃ ঈদুল ফিতর হল মুসলমানের একটি ধর্মীয় উৎসব। তাই এই দিনে বিজাতীয় সংস্কৃতি পালন করা যাবে না।
বিদআত হতে সতর্ক থাকাঃ ঈদের দিনে কোন ভাবেই কবর বা মাজারে গিয়ে বিদআতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। কবর জিয়ারত করা নিঃসন্দেহে একটি নেক আমল। রাসুল (সঃ) বলেছেন তোমরা কোনো মতেই কবরকে ঈদের স্থান বানাবে না।
গান বাজনা বা সিনেমা থেকে দূরে থাকাঃ ঈদের দিনে আমাদের সবার একটি ভুল হয় যে ঈদের দিনে আমরা গান বাজনাতে লিপ্ত হয়ে পড়ি। যা শরিয়তে এটি একটি নিষিদ্ধ ব্যাপার। আবার যদি হয় অশ্লীল গান বাজনা তাহলে তো আর কোন কথাই নেই এটা হারাপ কাজ।
অপচয় করা থেকে বিরত থাকাঃ ঈদের দিনে কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই অযথা খরচ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা ঈদের দিনে কিছু চিন্তা ভাবনা না করে শুধু খরচ করি যা আল্লাহ্ তায়ালা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন।
ঈদের নামাজ কি ফরজ নাকি ওয়াজিব
ঈদের নামাজ ফরজ নাকি ওয়াজিব? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই না জানা। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানাব ঈদের নামাজ ফরজ নাকি ওয়াজিব। কারন এই বিষয় আমাদের সবারি জেনে থাকা অতি প্রয়োজনীয়। তো শুরুতেই আপনাদের জানাই যে ঈদের নামাজ ওয়াজিব। এটা ফরজ নামাজ না। ঈদের দিনে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে হয়। তবে এই নামাজ একা একা পড়লে হবে না এই নামাজ পড়তে হয় ঈদ্গাহে গিয়ে জামায়াতের সাথে।
মুসলিমদের কাছে বছরে দুইটি ঈদ আসে। আর এই ঈদের দিনে কি নামাজ, কখন পড়তে হয় সকল বিষয় অনেকেই সঠিক ভাবে জানে না। ঈদের নামাজ সাধারনত ওয়াজিব। আপনি যদি ঈদের দিন দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ না পড়েন তাহলে ওয়াজিব ছুটে যাওয়ার গুনাহ হবে ফরজ ছুটে যাওয়ার না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে ঈদের নামাজ কি এবং কোথায় গিয়ে কখন পড়তে হয়।
ঈদের দিনের আমল সমূহ
ঈদের দিনের আমল সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবেন যে ঈদের দিনে কি আমল করতে হয়। ঈদের দিনের আমল বলতে প্রথমেই আমরা কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু করতে পারি। যেহেতু ঈদের দিন একটি বিশেষ ফজিলত পূর্ণ দিন সেহেতু ঈদের দিনে অনেক রকমই ইবাদত করা যায়। যেমন আপনি চাইলে তাওবার নামাজ পড়তে পারেন।
.webp)
শেষ কথাঃ ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ
ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ, সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছে যে ঈদের দিনের সুন্নত কি, ঈদের দিনে করণীয় কি এবং ঈদের দিনে বর্জনীয় কি। আমরা যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী বা মুসলিম তাদের এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হতে পারেন তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং এই বিষয়ে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করুন।
স্বপ্ন বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url