প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা-কিসমিস খেলে কি হয়
আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমরা প্রতিদিন নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনাদের খাদ্য তালিকায় কি কিসমিস আছে যদি না থাকে তাহলে আজ থেকেই অ্যাড করে নিন। কারন কিসমিস এমন একটা খাবার যা আমাদের শরীরের হাজারো উপকার করে থাকে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা-কিসমিস খেলে কি হয়
- প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- ওজন বাড়াতে কিসমিস
- হজমে সাহায্য করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
- ত্বকের জন্য উপকারি
- কিসমিস খাওয়ার সময়
- কিসমিস খেলে কি হয়
- শেষ কথাঃ প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা-কিসমিস খেলে কি হয়
প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা-কিসমিস খেলে কি হয় সেটা জানলে আপনি প্রতিদিন কিসমিস খাওয়া শুরু করবেন। হাজারো গুনে ভরপুর কিসমিস, এটা এমন একটি খাবার বা ফল যা আমাদের দেহের সকল ইন্দিরিয় গুলো কে সজাগ রাখে। কিসমিসের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, ফাইটোনিউত্রিয়েচ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, এবং অনান্য বেশ কয়েকটি ফাইবার।
কিসমিস শরীরে যেমন শক্তি যোগান দেয় তেমন শরীরে রক্ত উৎপাদন ও তৈরি করে। এবং কিসমিস ভেজানো পানি আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারি। আমরা নানা ধরনের খাবার রান্নায় কিসমিস ব্যবহার করে থাকি, রান্নার সাধ বাড়াতে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কিসমিসের আরো অনেক গুন আছে। কিসমিস আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করে থাকে। যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আরো অনেক সমস্যার সঠিক সমাধান করে থাকে।
কিসমিস আপনার ওজন বাড়াতে সহযোগিতা করে থাকে। প্রতিদিন নিয়ম করে কিসমিস খাবেন বা কিসমিস ভেজানো পানি খাবেন তাহলে আপনার শরীরের আমল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসের কিছু কিছু উপকারিতা অনেকেই জানেন। আবার অনেকেই জানেন না কিসমিস ভিজিয়া খাওয়ার উওকারিতা সম্পর্কে। শুকনো কিসমিস খাওয়ার চেয়ে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কয়েকটা কিসমিস এর দানা একটু পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। পরের দিন সকালে সেই পানি পান করবেন এতে অনেক উপকার আছে। এবং ভেজানো কিসমিস গুলোও চিবিয়ে খেয়ে নেবেন।
আরো পড়ুনঃ আদার উপকারিতা ও অপকারিতা
এভাবে নিয়মিত প্রতিদিন খান এতে করে আপনার শরীরে শক্তির সঞ্চার হবে। এবং নানা রকম রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। কিসমিস ভেজানো খেলে আপনার ত্বক সুন্দর হবে। হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে, চখের দৃষ্টি শক্তি বেড়ে যাবে শরীরের হাড় শক্ত ও মজবুত হবে আরো অনেক উপকার পাবেন।
ওজন বাড়াতে কিসমিস
অনেক মানুষ যাদের ওজন অনেক কম ওজন বাড়াতে পারছেন না। আপানি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে কিসমিস হবে আপনার বন্ধু। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ ও ফুক্টজ যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে দেয় না এবং সঠিক ভাবে ওজন বাড়েতে সাহায্য করে।
হজমে সাহায্য করে
কিসমিসে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে যা আমাদের হজমে সাহায্য করে। আর এটি পেটে রেচক প্রভাব দেয় এবং কষ্টকাঠীন্য দূর করে। এছাড়া প্রতিদিন কিসমিস খেলে তা অন্ত্রের চলাচলকে নিয়মিত রাখে এবং ফাইবার গুলো বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। যা তে আমাদের পেটের সমস্যা সমাধান করে থাকে। আর হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
আজকাল মানুষের রোগের পরিমাণ বেড়ে গেছে। তাই শরীর কে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। আর তার মধ্যে আপনি কিসমিস এড করতে পারেন। কিসমিস মানুষ কে অনেক অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে পেটের যে কোন সমস্যার সমাধান করে থাকে কিসমিস।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
কিসমিসে অনেক প্রকার পুষ্টি উপাদান আছে। তার মধ্যে একটি উপাদান হলো কেটেচিং নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরকে ফ্রী রেডিকেল কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করে। বর্তমান সময়ে ক্যান্সারের প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে। আর এই রোগ থেকে বাচার জন্য আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে কিসমিস খেতে পারেন। কিসমিস অনেক অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে। কিসমিস এমন একটি খাবার যা ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই খেতে পারেন।
ত্বকের জন্য উপকারি
আমাদের সবারই ত্বক সুন্দর রাখতে ভালো লাগে সবাই চাই ত্বক সুন্দর করতে। আর আপনার ত্বক সুন্দর করার জন্য আপনি চাইলে প্রতিদিন কিসমিস ভেজানো পানি বা কিসমিস খেতে পারেন। কিসমিস ত্বকের ভেতরের কোষকে যে কোন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে থাকে। এটি ত্বকের দাগ দূর করে এবং ত্বক মসৃণ করে।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, ইলাস্টীন এবং কোলাজেনের ক্ষতি থেকে ফ্রী যারডিকেল গুলো কে বাধা দেয়। তাই আপনার ত্বক সুন্দর ও মসৃণ রাখতে প্রতিদিন সকালে কয়েক দানা করে কিসমিস খেতে পারেন। কিসমিস এমন একটা খাবার যা তৈরি হয় আঙ্গুর ফল কে শুকিয়ে নানা প্রোসেসিং করে তার পর।
আর আমরা যানি যে আঙ্গুর ফলে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে। আর যখন আঙ্গুর শুকিয়ে কিসমিস বানানো হয় তার পর সেই কিসমিসে আরো অনেক পুষ্টি উপাদান যুক্ত হয়। তাই আমাদের প্রতিদিন দুইটা করে হলেও কিসমিস খাওয়া দরকার।
কিসমিস খাওয়ার সময়
কিসমিসে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে সেটা অনেকেই যানে কিন্তু কখন কিভাবে কিসমিস খেলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। এবং কখন আমাদের কিসমিস খেতে হবে সেটা অনেকেই জানে না। আসলে কিসমিস খাওয়ার তেমন কোন সময় বা নিয়ম নেই। তবে আপনি যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খেতে পারেন তাহলে পুষ্টি বা কিসমিসের উপকার একটু বেশি পাবেন।
আপনি যদি প্রতিদিন সকালে কিসমিস খেতে পারেন তাহলে আপনার উপকার অনেক বেশি। কারন যে কোন ধরনের পুষ্টি জাতিয় খাবার সকালেই খেতে হয়। সারা রাতের ঘুমের পর সকালে আপনার মন ভালো থাকে এবং আপনার দেহের সকল কোষ গুলা সজাগ থাকে। তাই আপনি তখন কিসমিস খেলে ভালো ফলাফল পাবেন।
কিসমিস খেলে কি হয়
আজকাল মানুষের খাদ্য তালিকায় কিসমিস এড করে নিচ্ছে কারন কিসমিসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার, ক্যালশিয়াম আরো অনেক রকম পুষ্টি উপাদান যুক্ত হয়েছে। যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারি। আর এই উপকারি খাবার খেলে আমাদের কি লাভ হবে চলুন জেনে নি
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেটের নানান জটিলতা ভালো করে দেয়।
- দাঁতের ক্ষয় রোধ করে এবং দাঁতকে মজবুত ও শক্ত করে।
- ত্বক সুন্দর করে ত্বকের সকল দাগ দূর করে ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে।
- চুল পড়া কমায় ও চুলের গোঁড়া শক্ত ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
- চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো করে এবং চোখ কে সুস্থ রাখে।
- হাড়ের উন্নতি করে হাড়কে শক্ত করে ও মজবুত করে তোলে।
- ওজন বাড়াতে কিসমিসের জুড়ি মেলা ভার ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কিসমিস।
শেষ কথাঃ প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা-কিসমিস খেলে কি হয়
কিসমিস এমন খবার যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হজমে সহযোগিতা করে ও আরো নানা উপকারি কাজ করে থাকে। প্রিয় পাঠক আশা করি আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ পড়েছেন। আর এই আর্টিকেল টি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। এই পোস্টে কিসমিসের সকল গুনাবলি তুলে ধরা হয়েছে।
কিসমিস আমাদের দেহের অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করে থাকে। আপনি যদি এই পোস্টটি পরে লাভবান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
স্বপ্ন বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url